IRCTC Retiring Room: এই রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে পাওয়া যায় হোটেলের মতো সুন্দর বিলাসবহুল রুম, বুক করতে লাগবে মাত্র ৩০-৪০ টাকা
কোনো একটি স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ আগে থেকে গিয়ে বসে থাকতে হয় অথবা ট্রেন পাল্টানোর ঝামেলা থাকলে স্টেশনেই করতে হয় রাত্রিযাপন। আশেপাশে হোটেল না থাকায় মেলে না রুম।

IRCTC Retiring Room: রেলের মতো ভরসাযোগ্য ও আরামদায়ক যাতায়াত ব্যবস্থা হয়তো আর দুটো নেই। যদিও বা এখন রেল যাত্রাতেও নানান বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবুও এই যাত্রা এত সহজে সম্ভব নয়। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে অতি স্বল্প টাকার মাধ্যমে রেল চলে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। এর সাথে নিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। তবে অনেক সময় কোথাও যেতে গেলে, কোনো একটি স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ আগে থেকে গিয়ে বসে থাকতে হয় অথবা ট্রেন পাল্টানোর ঝামেলা থাকলে স্টেশনেই করতে হয় রাত্রিযাপন। আশেপাশে হোটেল না থাকায় মেলে না রুম। সেক্ষেত্রে রয়েছে ইন্ডিয়ান রেলের (Indian Railway) বিশেষ রিটায়ারিং রুম (IRCTC Retiring Room), যার মাধ্যমে একেবারে হোটেলের মতোই ঘর পাওয়া যাবে, পরিষেবাও পাওয়া যাবে দুর্দান্ত। অতি কম টাকায় যাত্রীরা এখানে রাত্রিযাপনও করতে পারে। অনেকেই হয়তো এই রিটায়ারিং রুম (IRCTC Retiring Room) সম্পর্কে অবগত নয়। তাহলে জেনে নিন এই রুম সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য।
IRCTC Retiring Room
রিটায়ারিং রুম কি?
যাত্রীদের জন্য অতি স্বল্প টাকায় রেলের পক্ষ থেকে তৈরি করে দেওয়া বিশ্রামাগার হল এই রিটায়ারিং রুম। স্বল্প পরিমান টাকার মাধ্যমে প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার জন্য এই জাতীয় রুমগুলি বুক করা যায়। নানান ধরনের রুমের সুবিধায় রয়েছে। এর সাথে রয়েছে বেশ ভালো পরিষেবা।বৈধ টিকিট থাকলে এই জাতীয় রুম পাওয়া সম্ভব।
কিভাবে বুক করবেন এই রুম?
টিকিটে থাকা পিএনআর নাম্বার দিয়ে এই রুম বুক করতে পারবে অতি সহজে। যদিও সব স্টেশনে এই জাতীয় রিটায়ারিং রুম (IRCTC Retiring Room) থাকেনা। হাওড়া, মুম্বাই, চেন্নাইয়ের মতো বড় বড় স্টেশনে এই জাতীয় পরিষেবার রাখা হয়েছে।
ট্রেনে ঘুমাতে গেলে এবার থেকে মানতে হবে এই নিয়ম, নাহলেই পড়বেন সমস্যায়
কোন কোন স্টেশনে এই পরিষেবা বর্তমান?
ভারতের বড় বড় রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে এই পরিষেবা বর্তমানে চালু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো অনেক ছোটখাটো স্টেশনেও পরিষেবা চালু করা হতে পারে। বর্তমানে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা, ভোপাল, পাটনা, বারাণসী এই জাতীয় স্টেশনগুলিতে পরিষেবা রয়েছে।
কি কি পরিষেবা রয়েছে এই রুমে এবং কিভাবে পাওয়া সম্ভব?
যেসব যাত্রীদের একেবারে নিশ্চিত অর্থাৎ কনফার্ম টিকিট রয়েছে, তারা এই রিটায়ারিং রুম বুক করতে পারে। ন্যূনতম ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার জন্যই এই রুম পাওয়া যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা অবসর নেওয়ার জন্যও এই কক্ষ দেওয়া হয়। ৩ ঘন্টার জন্য যদি এই জাতীয় রুম নেওয়া হয়, তাহলে এর জন্য ৩০-৪০ টাকা দিতে হবে। এরপর সময় যত বাড়বে ততই অর্থের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। এই রুম পাওয়ার জন্য যাত্রীর থাকতে হবে নির্দিষ্ট ফটো আইডি, পাসপোর্ট, আধার কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি। এছাড়া যাত্রীরা চাইলে এসি বা নন এসি যে কোন কোটাতেই রুম নিতে পারে।
এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের Facebook পেজটি