Kajol Birthday Special: অভিনেত্রী কাজলের ৪৯তম জন্মদিনে রইল তার অভিনীত শ্রেষ্ঠ পাঁচটি সিনেমার গল্প

Today is Kajol’s 49th Birthday..
৯০ দশকে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছেন কাজল (Kajol)। আজ অভিনেত্রীর ৪৯ তম জন্মদিনে আরো একবার দর্শক এই এভারগ্রীন অভিনেত্রীকে স্মরণ করছেন তাঁর অভিনয় দক্ষতা ও একের পর এক দর্শককে উপহার দেওয়া কিছু সুপারহিট সিনেমার মাধ্যমে। বিশেষ এই দিনটিতে বন্ধু এবং নিজের পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন অভিনেত্রী। ১৯৯২ সাল থেকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন তিনি এবং তাঁর বিশেষ কিছু গুণ তাকে অন্য অভিনেত্রীদের থেকে অনন্য করে তুলেছে।
৯০ দশকের সকল অভিনেত্রী যখন চেহারায় বিশ্বাসী ছিলেন তখন কাজল (Kajol), তার অনন্য চেহারা বহন করে স্টেরিওটাইপগুলিকে ভেঙে দিয়েছিলেন। তবে কেরিয়ারের প্রথম দিকে নিজের গায়ের রঙ ও ভ্রু নিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তবে কোনো মন্তব্যকে পরোয়া না করেই ক্যামেরার সামনে এবং পিছনে উভয় ক্ষেত্রেই স্বাভাবিকভাবে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে বেখুদি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে শাহরুখ খানের বিপরীতে বাজিগর সিনেমার মাধ্যমে তিনি দর্শকমহলে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। বিগত ৩১ বছরে চলচ্চিত্র জগতে নিজের সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন অভিনেত্রী। শুধুমাত্র নায়িকা নন খলনায়িকার চরিত্রেও সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন এই অভিনেত্রী। করণ জোহরের চলচ্চিত্র যেমন কাভি খুশি কাভি গম- এ তার কমেডি রুপগুলি ধরা পড়েছে এবং শাহরুখ খান-অভিনীত মাই নেম ইজ খানের মতো আরও উল্লেখ্যযোগ্য ছবিতে একজন মায়ের ভূমিকায় নিজের অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
১৯৯৭ সালে গুপ্ত সিনেমায় খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে ১৯৯৮ সালে প্রথম অভিনেত্রী হিসাবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতেন তিনি। তবে তিনি কখনোই অভিনেত্রী হতে চাননি, মাত্র ১৫ বছর বয়সে একটি ফটোশুটের জন্য তার বোন শরবানির সঙ্গে গিয়েছিলেন কাজল (Kajol)। সেখানেই গৌতম রাজাধক্ষ তাকে দেখেন এবং ছবির জন্য পোজ দিতে বলেন। স্কুলে পড়ার সময়ই তাকে বেখুদি করতে বলা হয়, সময় কাটানোর জন্য এই সিনেমা করলেও পরে তিনি বুঝতে পারেন এটিই তার ভবিষ্যৎ।
১৯৯৮ সালে ক্যারিয়ারে শীর্ষে থাকাকালীনই অজয় দেবগনের প্রেমে পরেন এবং তাঁকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৯ সালে সাত পাকে বাঁধা পরেন কাজল এবং অজয় দেবগন। ক্যারিয়ারের শীর্ষে বিয়ে করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আজ অভিনেত্রীর জন্মদিনে তাঁর ৫টি সেরা চলচ্চিত্রে সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো:
বাজিগর (১৯৯৩)
আব্বাস-মস্তান পরিচালিত রোমান্টিক থ্রিলারে, কাজল শাহরুখ খান , শিল্পা শেঠি, রাখী, দালিপ তাহিল এবং জনি লিভারের সাথে অভিনয় করেছেন। এই সিনেমায় কাজলকে প্রিয়া চোপড়া, শাহরুখের বান্ধবী এবং শিল্পা শেঠির বোনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। এই সিনেমার একটি দৃশ্য যেখানে প্রিয়া নিজেই তার বোনের মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে যে তার দিদিকে বাস্তবে শাহরুখের চরিত্রের দ্বারা হত্যা করা হয়েছিল। এটি দর্শকমহলে আজও একটি আইকনিক দৃশ্য হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এই সিনেমাতে কাজলের অভিনয় বিশেষ দাগ কেটেছে দর্শকের মনে।
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে (১৯৯৫)
বলিউডের বিখ্যাত রোমান্টিক চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি হল দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে, যা ডিডিএলজে নামেই বিশেষ পরিচিত। এই সিনেমায় কাজল এবং শাহরুখ- এর জুটিকে আজও মনে রেখেছে দর্শক। এই সিনেমা তাদের পরবর্তীকালে একটি হিট জুটি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ইউরোপ ট্রিপে সিমরানের সঙ্গে (কাজল) দেখা থেকে শুরু করে রাজকে (শাহরুখ) ঘৃণা করা এবং পরবর্তীতে তার কঠোর বাবাকে (অমরিশ পুরী) তার পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করার আগে একটি গার্লস ট্রিপে যেতে রাজি করানো পর্যন্ত, কাজল প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্মরণীয় ছিল। এই সিনেমায় একটি কমান্ডিং পারফরম্যান্স তার প্রতিভাকে তুলে ধরেছিল।
গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ (১৯৯৭)
এই হত্যা রহস্যে খলনায়িকা চরিত্রে দেখা গিয়েছিল কাজলকে। ববি দেওল এবং মনীষা কৈরালা অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি ছিল বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। এই সিনেমার জন্য কাজল সেরা খলনায়িকা সহ তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন। নৈতিকভাবে নিন্দনীয় প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করা সত্ত্বেও, এই কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে, কাজল ইশা দেওয়ানের চরিত্রে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে অভিনয় করেছিলেন।
শাহরুখ খানের বাতিল এই ৪ টি ছবি সুপারস্টার বানিয়েছে আমির খানকে!
কাভি খুশি কাভি গম (২০০১)
এই সিনেমাতে কাজলকে দেখা গিয়েছিল একজন গৃহবধূ হিসাবে। অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ, হৃতিক রোশন এবং কারিনা কাপুরের মতো অন্যান্য হেভিওয়েটদের পাশাপাশি তার অভিনয় প্রশংসার দাবি রাখে।
মাই নেম ইজ খান (২০১০)
কাজল এবং শাহরুখ অভিনীত এই সিনেমায় শাহরুখকে একজন মুসলিমের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। যিনি অ্যাসপারজার সিনড্রোমে ভুগছেন, এটি অটিজমের একটি রূপ যা তাকে আর পাঁচটা মানুষের থেকে আলাদা করে। অন্যদিকে কাজলকে দেখানো হয়েছে এক সন্তান হারা-মায়ের চরিত্রে। লস অ্যাঞ্জেলেসে ৯/১১- এর সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের পরে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী হিসাবে শাহরুখকে ভুলভাল ভাবে গ্রেফতার করা হয়। গল্পের নায়িকা কাজলের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পরে শাহরুখের জীবন। তাদের বিয়ের পর হঠাৎ জীবনে আসে ভয়ংকর ঝড়, যা তাদের সুখের সংসারকে ভেঙে তছনছ করে দেয়। সিনেমাটিতে মনুষত্ব ধর্ম ভেদাভেদ নানান স্পর্শকাতর ইস্যুকে খুব নিখুদ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাই বলাই যায় কাজলের অভিনীত সিনেমা গুলির মধ্যে মাই নেম ইজ খান অন্যতম ।
এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের Google News পেজটি