Uncategorized

Lingaraj Temple: গর্ভগৃহের নিচ দিয়ে বইছে নদী! লিঙ্গরাজের ইতিহাস শুনলে চমকে যাবেন

লিঙ্গরাজ শব্দের অর্থ হলো 'লিঙ্গের রাজা' অর্থাৎ এই মন্দির এই হরিহরের পূজো করা হয়।

Advertisements

Lingaraj Temple: পুরান শাস্ত্র অনুযায়ী, সনাতলী হিন্দু ধর্মের অন্যতম পিঠস্থান হল উড়িষ্যার পুরী এবং ভুবনেশ্বর। নানান দেবদেবীর আরাধনায় গোটা দেশ জুড়ে লোকের সমাগম হয় এই পুরী এবং ভুবনেশ্বরে। এই ভুবনেশ্বরেই রয়েছে ভারতের অতি অতি প্রাচীন হিন্দু মন্দির লিঙ্গরাজ (Lingaraj Temple)। যার কারুকার্য আজও অবাক করে তোলে সকলকে! লিঙ্গরাজ শব্দের অর্থ হলো ‘লিঙ্গের রাজা’ অর্থাৎ এই মন্দির এই হরিহরের পূজো করা হয়। ভুবনেশ্বরের সব থেকে বড় মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই লিঙ্গরাজের মন্দির।

History of Lingaraj Temple
লিঙ্গরাজ মন্দিরের ইতিহাস

Lingaraj Temple

ঐতিহাসিকদের মতানুসারে, ৬১৫ থেকে ৬৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সময়ে ললাট ইন্দু কেশরী এই মন্দির স্থাপিত করে। তিনি ছিলেন উড়িষ্যার শাসক। তবে নাট মন্দির এবং গম্বুজগুলি আনুমানিক দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়।

Advertisements

Lingaraj Temple

আবার অনেকের মতে, একাদশ শতাব্দীতে এই মন্দির তৈরি করেছিলেন সোমাবংশী রাজা যয়াতি। ওই গর্ভ গৃহ নাটমন্দির তৈরি করা হয় ১০৯৯ থেকে ১১০৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে।

Lingaraj Temple

জানা গেছে উড়িষ্যার গঙ্গারাজারা প্রতিদিন এই মন্দিরে আসতেন। হরিহরের পূজা দেওয়ার জন্য রোজ নিজেদের নিয়োজিত করতেন এখানকার রাজারা। তারা হরিহারকেই সৃষ্টি ও বিনাশের ভগবান শিব ও বিষ্ণুরূপে পূজা করতেন।

Lingaraj Temple

বিখ্যাত ঐতিহাসিকবিদ জেমস ফার্গুসন এই মন্দিরকে ভারতের অন্যতম বিশুদ্ধ মন্দির বলে দাবি করেছিলেন।

মন্দিরের ইতিবৃত্তান্ত

Lingaraj Temple

এই লিঙ্গরাজ মন্দির বর্তমানে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণ দেখাশোনা করেন। এছাড়া প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার পুর্নার্থীর সমাগম দেখা যায় এখানে। আনুমানিক ৬০০০ ভক্ত এই মন্দিরে আসেন রোজ।

জগন্নাথ দেবের রথের কাঠ কাটতে ব্যবহার হয় সোনার কুড়ুল, রথযাত্রার অজানা কাহিনী জানলে অবাক হবেন

Lingaraj Temple

এই লিঙ্গরাজ মন্দিরে রয়েছে অভূতপূর্ব বিন্দুসাগর সরোবর। এই নিয়েও রয়েছে একাধিক মতাভেদ। স্থানীয়রা বলে থাকে, ভারতের বেশ কয়েকটি বড় নদীর জল এই সরোয়ারে এখনো পর্যন্ত রয়েছে। আবার অনেকে মনে করেন মন্দিরের নীচে নাকি এই নদী বয়ে গেছে। ভক্তদের মতে, এই জলে স্নান করলে সমস্ত রকম রোগব্যাধি দূর হয়ে যায়।

Lingaraj Temple

লিঙ্গরাজের মন্দিরে রয়েছে দেউল শৈলীর মোট চারটি ভাগ। যেগুলি হল বিমান, নাটমন্দির, ভোগ মন্ডপ, জগমোহন। আর এর মাঝে রয়েছে ১৮০ ফুট উচ্চতার মিনার। বিমান অংশের মধ্যেই মূল দেবতা থাকেন। এছাড়া এই মন্দিরের প্রবেশ দ্বার তৈরি করা হয়েছিল চন্দন কাঠ দিয়ে, যা এখনো পর্যন্ত মজবুত।

এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের Facebook পেজটি

Related Articles