খবর

Shiv Temple: রহস্যময় শিব মন্দির! রাজস্থানের এই মন্দিরে দিনে তিনবার বদলে যায় শিবলিঙ্গের রঙ

মহাদেবের মন্দির মানেই রহস্যে মোড়া। আমাদের দেশে এমন বহু শিব মন্দির (Shiv Temple) রয়েছে যেগুলি আজও বহন করে চলেছে নানান রহস্যময় কাহিনী।

Advertisements

Shiv Temple : ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলছে শ্রাবণ মাস। অর্থাৎ শিব পুজোর সময়। এই সময় মহাদেবের টানে বিভিন্ন মন্দিরে (Shiv Temple) ছুটে যান হাজার হাজার ভক্ত। তবে মহাদেবের মন্দির মানেই রহস্যে মোড়া। আমাদের দেশে এমন বহু শিব মন্দির (Shiv Temple) রয়েছে যেগুলি আজও বহন করে চলেছে নানান রহস্যময় কাহিনী।

অচলেশ্বর মহাদেব মন্দির (Shiv Temple)

Shiv Tample

Advertisements

ভক্তদের বিশ্বাস, এমন বহু অলৌকিক মন্দির এবং ধাম রয়েছে যেখানে কেবলমাত্র দর্শন করলেই মিটে যায় সব কষ্ট। পূরণ হয় মনের ইচ্ছা। এমন একটি পবিত্র মন্দির হল অচলেশ্বর মহাদেব মন্দির। রাজস্থানের ধোলপুরে অবস্থিত প্রায় এক হাজার বছরের প্রাচীন এই শিব মন্দিরটি ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত জাগ্রত। আসলে এ মন্দিরটি বিখ্যাত অলৌকিক ঘটনার জন্য। রাজস্থানের দোলপুরের অচলেশ্বর মহাদেব মন্দিরের শিবলিঙ্গ দিনে তিনবার রং বদলায়। এমনকি মাটির নিচ থেকে উৎপত্তি হয়েছে এই শিবলিঙ্গের। সকালে এই শিবলিঙ্গের রং থাকে লাল, বিকেলে রং হয়ে যায় জাফরানের মত আবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কালো রঙে পরিণত হয় এই শিবলিঙ্গ।

শ্রাবণ মাসে ভুলেও শিবকে উৎসর্গ করবেন না এই জিনিসগুলি! না হলেই ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ

ঘুষ্মেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ

Shiv Temple

Advertisements

শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে সর্বপ্রথম জ্যোতির্লিঙ্গ যেমন সোমনাথ ঠিক তেমনি সর্বশেষ জ্যোতির্লিঙ্গ ঘুষ্মেশ্বর। মহারাষ্ট্রের দৌলতাবাদের বেরুলগ্রামে রয়েছে ঘুষ্মেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির। শিব পুরাণে পাওয়া যায় এই জ্যোতিরলিঙ্গের উল্লেখ।

Shiv Temple: রহস্যময় শিব মন্দির! রাজস্থানের এই মন্দিরে দিনে তিনবার বদলে যায় শিবলিঙ্গের রঙ

পুরান কাহিনী অনুযায়ী, দক্ষিণ দেশের দেবগিরি পর্বতের পাশে সুধর্ম নামক এক ব্রাহ্মণ তাঁর স্ত্রী সুদেহার সঙ্গে বসবাস করতেন। এই দম্পতি ছিলেন নিঃসন্তান। একটা সময় সুদেহা তাঁর নিজের বোন ঘুষ্মার সঙ্গে বিয়ে দেন সুধর্মার। ঘুষ্মা ছিলেন শিব ভক্ত প্রতিদিন মাটির শিবলিঙ্গ গরে পুজো করতেন তিনি। ভোলানাথ তার ওপর প্রসন্ন হয়ে উপহার স্বরূপ দেন পুত্র সন্তান। তবে বোনের আনন্দ সহ্য করতে না পেরে পুকুরের সন্তানকে ফেলে আসেন সুদেহা। এতকিছুর পরেও মহাদেবের পূজা করা বন্ধ করেননি ঘুষ্মা। তার পুজোয় সন্তুষ্ট হয়ে ঘুষ্মাকে বর দেন মহাদেব। তাঁর নাম অনুসারে এই মন্দিরের নাম ঘুষ্মেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ। ভক্তদের বিশ্বাস এ মন্দিরে এলেই নাকি সন্তান লাভ হয়।

এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের Facebook পেজটি

Related Articles