Naihati Boro Maa: রুদ্রমুখী হোক বা স্নিগ্ধ মূর্তি, নৈহাটির বড়মা সকলের প্রাণ! জানুন মায়ের মাহাত্ম্য
পশ্চিমবঙ্গের এক অন্যতম পিঠস্থান হল এই নৈহাটির বড় মা।

Naihati Boro Maa: নৈহাটি নামটি শুনতেই যে কথাটি প্রথমে মাথাই আসে, তাহল বড়মা। বড়মাকে দর্শন না করে, কেউ থাকতেই পারে না। পশ্চিমবঙ্গের এক অন্যতম পিঠস্থান হল এই নৈহাটির বড় মা। শোনা যায়, পূর্বে অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা মোড়ে রক্ষাকালীর পুজো করা হতো। এরপরে গভীর রাতে মাকে বিসর্জনও দেওয়া হতো। অজ্ঞাত কারণবশত সেই পুজো বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে জুটমিল কর্মী ভবেশ চক্রবর্তীর শুরু করেন নৈহাটির অতি জাগ্রত বড় মায়ের পুজো। যা আজও লোকমুখে সমানভাবে জনপ্রিয়।
Naihati Boro Maa
নৈহাটির বড় মায়ের ইতিহাস
নৈহাটির বড়ো মায়ের পূজাতে গোটা রাজ্যজুড়ে লোকের সমাগম হয় এই মন্দিরে। ২১ ফুট উচ্চতার বিরাট কালী মূর্তি আকৃষ্ট করে কালী ভক্তদের। পুরান কাল থেকেই বিশ্বাস করা হয়, নৈহাটির বড়মার কাছে কিছু চাইলে মা তাকে ফিরিয়ে দেন না। সেই থেকেই মায়ের জাগ্রত পুজো এবং আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে।
নৈহাটির বড় মায়ের মূর্তির বিশেষত্ব
বড় মায়ের মূল মন্ত্র ‘ধর্ম যার যার, বড় মা সবার’! ২১ ফুট উচ্চতার এই বিরাট বড় মাকে পুজো করা হয় কোজাগরির পূর্ণিমা তিথিতে। বলা বাহুল্য সবথেকে বড় এই মা কালীর উচ্চতা। রঙ রাখা হয় কৃষ্ণ বর্ণের। নৈহাটির বড়মাকে দক্ষিণাকালী বলেও পূজা করা হয়। প্রায় কয়েক কেজি সোনা দিয়ে প্রতিবছর সাজিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
কিভাবে যাবেন এই মন্দিরে?
নৈহাটি স্টেশন রোড ধরে হাঁটলেই সামনে পড়বে গঙ্গা। এরপর গঙ্গার জেটির কাছে গেলেই দেখা যাবে কালীমন্দির, মন্দিরের ঠিক পাশেই রয়েছে বিশাল আকারের বড় মায়ের মূর্তি।
দিওয়ালির দিন ঘরে টিকটিকি দেখলে না তাড়িয়ে করুন এই কাজটি, সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে জীবন
বড় মায়ের ভোগ
ভোগ দেখলে নাকি দুর্ভোগ কাটে আর সে যদি হয় বড় মায়ের, তাহলে কোন কথাই নেই । নৈহাটির বড় মায়ের আরাধনার ৫ দিন বিরাট ভোগের আয়োজন করা হয়। প্রায় শত শত ভক্তরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে উপস্থিত হয়। ভোগের আয়োজনে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা , তরকারি , লুচি, পায়েস, চাটনী আরো কত কি!
বিসর্জনের দৃশ্য
জাগ্রত বড় মায়ের বিসর্জনের দৃশ্য সকলকে অবাক করে তোলে। সে যেন অপূর্ব এক মোহমায়া! মায়ের শরীর থেকে কেজি কেজি গয়না খুলে নেওয়া হয়। তাকে সাজিয়ে তোলা হয় ফুল দিয়ে। এরপর ট্রলারে করে সেই বিশাল মূর্তির বিসর্জন করা হয়।
এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের Google News পেজটি