Neem Phooler Madhu: বুড়ো খোকা! জেঠিকে মারতে গেলে উল্টে ঠাম্মির হাতে সজোরে চড় খেল বড় জেঠু, প্রকাশ্যে ধুমধুমার পর্ব
একটি রক্ষণশীল যৌথ পরিবারের কাহিনীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে ধারাবাহিকের গল্প।

Neem Phooler Madhu: বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) শীর্ষস্থানীয় ধারাবাহিকগুলির মধ্যে নিম ফুলের মধু অন্যতম (Neem Phooler Madhu)। প্রথম থেকেই দর্শকের মন জিতেছে এই ধারাবাহিক। একটি রক্ষণশীল যৌথ পরিবারের কাহিনীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে ধারাবাহিকের গল্প। যেখানে মুখ্য চরিত্র পর্ণা ও সৃজন। সম্প্রতি ধারাবাহিকে চলছে টানটান উত্তেজনা। যার ফলে একটি এপিসোডও মিস করতে চাইছেন না দর্শক। সাম্প্রতিক টেলিকাস্ট হওয়া পর্বে দেখা গিয়েছে, পর্ণার উপর বদলা নিতেই তার বন্ধু রুচিরাকে পুলিশের সামনে থেকে কিডন্যাপ করেছে মেঘনাদ। এরপরই রূচিরাকে বাঁচাতে তৎপর হয়ে ওঠে পর্ণা। মেঘনাদ পর্নাকে জানায় রুচিরাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেতে চাইলে দত্ত বাড়ির গণেশের স্বর্ণমূর্তি তার হাতে তুলে দিতে হবে।
Neem phooler Madhu Zee Bangla
এরপরই শেষ পর্বে দেখা গিয়েছে পর্নাকে সাহায্য করতে ঠাকুর ঘর থেকে গণেশের স্বর্ণমূর্তি এনে দিয়েছে হেমলোলিনি দেবী। কিন্তু চয়নকে সঙ্গে নিয়ে বেরোনোর সময়ই কৃষ্ণের হাতে ধরা পড়ে পর্ণা। এরপরই নানা ছোট বড় কথা শুনিয়ে অপমান করা হয় তাকে। তার কাছ থেকে গণেশ মূর্তি ছিনিয়ে নিয়ে জেঠু নিজের কাছে তা রেখে দেয়।
Neem phooler Madhu New Episode
এরই মাঝে প্রকাশ্যে এলো ধারাবাহিকের আসন্ন আগামী পর্ব, যেখানে দেখা গিয়েছে পর্নার হাতে গণেশ মূর্তি তুলে দিয়েছেন সৃজনের জেঠি ও ঠাম্মি। তবে সেখানেও বাধ সাধে সৃজন। রাতের অন্ধকারে গণেশ মূর্তি নিয়ে বেরোতে গেলে সৃজন উপস্থিত হয়ে জানায় সেও যাবে পর্ণার সঙ্গে। সৃজনের এই প্রস্তাবে প্রথমে রাজি না হলেও শেষমেষ তাকে মিশনে নিয়ে যেতে রাজি হয় পর্ণা। এরপরই সকালে হুলুস্থূল পড়ে যায় দত্ত বাড়িতে। গণেশের মূর্তি সঠিক স্থানে না পেয়ে বেজায় চটে যায় জেঠু। সে বারবার তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে থাকে গণেশের মূর্তি কোথায় রেখেছে। কিন্তু জেঠি ভয়েতে কিছুই বলতে পারেনা। অন্যদিকে কৃষ্ণা জানায় পর্ণাও ঘরে নেই। এরপরই পর্নাকে ফোন করে সৃজনকে বাড়ি ফিরে আসতে মাথার দিব্যি দিলে সৃজন বলে আর কোনো অশান্তি তার ভালো লাগছে না। এই বলে ফোন কেটে দেয় সে।
এরপর কৃষ্ণা জেঠির দিকে আঙ্গুল তুলে বলে সবকিছু তোমার জন্যই হয়েছে বড়দি। তুমি কেন গনেশ মূর্তি পর্ণার হাতে তুলে দিয়েছিলে! এরপর জেঠু জেঠিকে চোর সাব্যস্ত করে হাত ধরে টেনে চড় মারতে গেলে হেমলোলিনি দেবী উল্টে চড় মারে তার বড় খোকাকে। অন্যদিকে দেখা যায় মেঘনাদ পর্নাকে বলছে গণেশ মূর্তি না পাওয়া পর্যন্ত সে রুচিরাকে কোনোমতেই তুলে দেবে না তার হাতে। কী হবে এইবার? মেঘনাদের হাত থেকে রুচিরাকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনতে পারবে কি পর্ণা? নাকি চিরতরে হারিয়ে ফেলবে দত্ত বাড়ির ঐতিহ্যের গণেশমূর্তি! কি হবে আগামী পর্বগুলিতে জানতে দেখতে হবে নিম ফুলের মধু।
এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের Google News পেজটি