Neem Phooler Madhu: ‘আপনাকে আমি পুলিশে দেবো’! জেঠুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল পর্ণা, প্রকাশ্যে দুর্ধর্ষ পর্ব
পরকীয়া বা ত্রিকোণ প্রেম নয় বরং বাস্তব সমাজের প্রেক্ষাপটে রক্ষণশীল পরিবারের কাহিনীকে অবলম্বন করে এই ধারাবাহিকের গল্প আবর্তিত হচ্ছে।

Neem Phooler Madhu: বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত হওয়া প্রথম সারির ধারাবাহিকগুলির মধ্যে নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu) অন্যতম। পরকীয়া বা ত্রিকোণ প্রেম নয় বরং বাস্তব সমাজের প্রেক্ষাপটে রক্ষণশীল পরিবারের কাহিনীকে অবলম্বন করে এই ধারাবাহিকের গল্প আবর্তিত হচ্ছে। গল্পের নায়িকা পর্ণার প্রতিবাদী চরিত্র প্রথম থেকেই মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের। বর্তমানে গল্প আবর্তিত হচ্ছে চয়ন ও রুচিরার প্রেমকে কেন্দ্র করে। নিত্য দর্শকরা সকলেই জানেন চয়ন পর্ণার দেওর এবং রুচিরা পর্ণার বেস্টফ্রেন্ড।
Neem Phooler Madhu Zee Bangla
ধারাবাহিকের শেষ পর্বে দেখা গিয়েছে, ঈশার পাতা ফাঁদে পা দেয় রুচিরা। ঈশা পর্ণার ফোন থেকে রুচিরাকে মেসেজ করে দত্ত বাড়িতে এসে চয়নের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে বলে। রুচিরাও চয়নের সঙ্গে থাকার লোভ সামলাতে না পেরে চলে আসে দত্ত বাড়িতে। এদিকে রুচিরা এলেই অয়ন সেই খবর পৌঁছে দেয় মৌমিতার কাছে। এরপরই মৌমিতা সৃজনকে সব কথা জানিয়ে দেয় যে পর্নার কথায় আজ ফাঁকা বাড়িতে চয়ন ও রুচিরা একসঙ্গে রয়েছে। এদিকে মৌমিতার কথামতো অয়ন বাড়িতে জেঠুকে নিয়ে হাজির হয়। জেঠু চয়নের ঘরে ঢুকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে তাদের এর পরেই রুচির আর বাবা মাকে ডেকে পাঠায় সে। মূলত বিয়ের কথা বলার জন্য তাদের ডেকে পাঠালেও শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত বাজেভাবে অপমান করে তাদের।
জেঠুর এই ব্যবহারে রুচির বাবা-মা ঠিক করে এই বাড়িতে কোনো মতেই তারা তাদের মেয়ের বিয়ে দেবে না। চয়ন ঠাম্মিকে জানাই সে রুচিরাকে খুব ভালোবাসে তাই সে রুচিরা ছাড়া অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না ঠাম্মি পড়া ও চয়ন এরপর চলে যায় রুচিরার বাড়িতে ক্ষমা চাইতে। ঠম্মি রুচিরার মা-বাবা দুজনকেই সবটা ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করতে বলেন। এমনকি চয়নও বলে সে সব সময় রুচিরার পাশে থাকবে কিন্তু রুচির বাবা জানিয়ে দেন বাবার বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা চয়নের নেই। তাই এই সম্পর্ক না রাখাই ভালো।
ঘুরে গেল গল্প! পর্ণাকে ডিভোর্স দিতে কোর্টের দ্বারস্থ হল সৃজন, প্রকাশ্যে দুর্ধর্ষ প্রোমো
Neem Phooler Madhu New Episode
এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে ধারাবাহিকের আগামী পর্ব যেখানে দেখা যাবে, বাড়িতে তাণ্ডব শুরু করেছে জেঠু। কাউকেই যেন সে মানছে না। চয়নকে ভুলের শাস্তি দিতে সে জেঠির গায়ে হাত পর্যন্ত তোলে। এরপর চয়নকে লাঠি দিয়ে মারতে যায় এবং বলে তাকে খুন করে ফেলবে। এরপরই জেঠুর হাত ধরে পর্ণা বলে ‘আপনি আজ জেঠির গায়ে হাত তুললেন’। জেঠু পর্ণাকে জানিয়ে দেয় যে সে পর্ণার সব লেজুরদের সর্বনাশ করে ছাড়বে। এরপরই পর্ণা জেঠুকে জানিয়ে দেয় যে সে তাকে পুলিশে দেবে। এই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় জেঠু। তবে কি এইবার সত্যি সত্যি দত্ত বাড়িতে পুলিশ এনে জেঠুকে অ্যারেস্ট করাবে পর্ণা? নাকি জেঠুকে ঠিক করতে এটা তার নতুন চাল! কোন দিকে মোড় নেবে ধারাবাহিকের গল্প! জানতে দেখতে হবে নিম ফুলের মধু।
এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের Google News পেজটি