Prakriti Malla: বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরতম হাতের লেখার অধিকারী ‘প্রকৃতি মাল্লা’, ব্যাপক ভাইরাল ভিডিও
সম্প্রতি নেপালের একটি মেয়ে তার সুন্দর ও ব্যতিক্রমী হাতের লেখার মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে সূক্ষ হাতের লেখার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।

Prakriti Malla: কথায় আছে মানুষ সুন্দরের পূজারী। সুন্দর যে কোনো জিনিস খুব সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করে। আর হাতের লেখা সুন্দর হলে তাঁদের কদরই আলাদা। বিভিন্ন মানুষের হাতের লেখার শৈলী বিভিন্ন ধরনের। খুব ছোট বয়স থেকে হাতের লেখাকে সুন্দর করে তোলার জন্য সকলেই অনুশীলনে নিযুক্ত হয়। এমনকি পরিষ্কার হাতের লেখার জন্য পরীক্ষার খাতায় বাড়তি নম্বরও দেওয়া হয়। শিক্ষক শিক্ষিকারা বরাবরই সুন্দর হাতের লেখা পছন্দ করে থাকেন।
Prakriti Malla Has The Best Handwriting In The World
সম্প্রতি নেপালের একটি মেয়ে তার সুন্দর ও ব্যতিক্রমী হাতের লেখার মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে সূক্ষ হাতের লেখার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। মেয়েটির নাম প্রকৃতি মাল্ল্য (Prakriti Malla)। বয়স ১৬ বছর। বর্তমানে নেপালের (Nepal) ‘সৈনিক আওয়াসিয়া মহাবিদ্যালয়ের’ (Sainik Awasiya Mahavidyalaya) দশম শ্রেণীর ছাত্রী সে। নেপালের এক ব্যক্তির দৌলতে তাঁর লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন তার লেখা একটি অ্যাসাইনমেন্ট ভাইরাল হয়ে ওঠে ইন্টারনেটে। সেই কাগজে তার হাতের লেখা এতই চিত্তাকর্ষক ছিল যে তা বিশ্বব্যাপী সকল মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। তার হাতের লেখার ভুয়সী প্রশংসা করেছিলেন সকলে। প্রকৃতি ইউনাইটেড আরব আমিরাতের ৫১তম স্পিরিট অফ দ্য ইউনিয়ন উপলক্ষে ইউনাইটেড আরব আমিরাতের নেতৃত্ব এবং নাগরিকদের জন্য একটি অভিনন্দন পত্র রচনা করেছেন। অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে চিঠিটি দূতাবাসে উপস্থাপন করেন প্রকৃতি। ২০২২ সালে নেপালে ইউনাইটেড আরব আমিরাত দূতাবাস প্রকৃতি মাল্ল্যকে স্বীকার করে একটি টুইট পোস্ট করেছে। টুইটটিতে বলা হয়েছে, প্রকৃতি মাল্ল্য নেপালি তরুণী, ইউনাইটেড আরব আমিরাতের ইউনিয়নের ৫১ তম স্পিরিট অফ দ্য ইউনিয়ন উদযাপনে বিশ্বের সেরা হস্তাক্ষর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও প্রকৃতি ইউনাইটেড আরব আমিরাত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও স্বীকৃতি পেয়েছে।
হস্তলিপি বিশেষজ্ঞরাও এত অল্প বয়সে তাঁর এই নিখুঁত লেখা দেখে অবাক হয়েছেন। তাঁর এই হাতের লেখা সত্যিই অন্যদের অনুপ্রেরণা জাগায়। লিপি বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর লেখা প্রত্যেকটি অক্ষরের মধ্যে সমান দূরত্ব, প্রত্যেকটির মাপও কোথাও কম বা বেশি নয়। এমনকি প্রত্যেকটি অক্ষরের উচ্চতাও প্রায় সমান। তাঁর অসাধারণ প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সকলেই এবং বিশ্বের সবথেকে সুন্দর হাতের লেখা খেতাব পেয়েছে সে। নেপালের সশস্ত্র বাহিনী দ্বারাও পুরস্কৃত হয়েছে এই মেয়েটি।
এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের Google News পেজটি