বিনোদন দুনিয়া

Rituparno Ghosh: চিরকালীন ঋতু! কিংবদন্তি পরিচালকের জন্মদিনে রইল তাঁর জীবনের কিছু অজানা গল্প

ভারতের চলচ্চিত্র জগতের একজন কিংবদন্তি পরিচালক হলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh)।

Advertisements

Rituparno Ghosh 60th Birth Anniversary: ভারতের চলচ্চিত্র জগতের একজন কিংবদন্তি পরিচালক হলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh)। তবে শুধুমাত্র পরিচালক নয় তিনি ছিলেন একাধারে একজন সুদক্ষ অভিনেতা, গীতিকার। এক কথায় বলতে গেলে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। বাংলা চলচ্চিত্র জগৎকে এক আলাদা মাত্রা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর একাধিক চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর স্বাধীনচেতা মনোভাব তাঁকে সকলের কাছে আরও অনন্য করে তুলেছিল। আজ এই কিংবদন্তি পরিচালকের ৬০তম জন্মদিন। নিজের কাজের মধ্য দিয়ে অমরত্ব লাভ করেছেন তিনি।

Rituparno Ghosh

Rituparno Ghosh

Advertisements

Early Life

১৯৬৩ সালের ৩১শে আগস্ট কলকাতা শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি তাঁর বাবা সুনীল ঘোষ ছিলেন একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা ও একজন চিত্রশিল্পী। কলকাতার নামজাদা স্কুল ও কলেজ থেকে নিজের পড়াশোনা শেষ করেছিলেন তিনি। চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের আগে একজন দক্ষ কপিরাইটার হিসাবে তিনি কাজ করতেন রেসপন্স ইন্ডিয়া নামক এক বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। আগে যেকোনো বিজ্ঞাপন হিন্দি বা ইংরেজি থেকে অনুবাদ করা হলেও ১৯৮০ সালে তার হাত ধরে প্রথম বাংলা ভাষায় বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হতে শুরু করে। বিজ্ঞাপনের জন্য তার তৈরি কিছু স্লোগান আজও মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৯০ সালে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য দূরদর্শনের তরফ থেকে একটি অফার পেয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই সিনেমা পরিচালনার কাজে নিযুক্ত হন তিনি।

Rituparno Ghosh

Advertisements

Film Career

তাঁর তৈরি প্রতিটি সিনেমাই দর্শককে এক আলাদা বার্তা প্রদান করেছে। মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমার আঙ্গিক থেকে সামান্য বিচ্ছিন্ন হয়ে ছবি তৈরি করতেন ঘোষ। ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রথম ছবি হীরের আংটি মুক্তি পায় ১৯৯২ সালে। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত উনিশে এপ্রিল ছবিটি তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এই ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল।

Rituparno Ghosh: চিরকালীন ঋতু! কিংবদন্তি পরিচালকের জন্মদিনে রইল তাঁর জীবনের কিছু অজানা গল্প

এরপর থেকে একের পর এক দুর্ধর্ষ ছবি উপহার দিয়েছিলেন তিনি দর্শকদের। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হয় দহন। এটিও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। এরপর ১৯৯৭ সালে এবং ২০০০ সালে মুক্তি পায় উৎসব। ২০০৩ সালে আগাথা ক্রিস্টির দ্য মিরর ক্র্যাকড ফ্রম সাইড টু সাইড অবলম্বনে ঘোষ তৈরি করেন একটি “হুডানইট” রহস্য ছবি শুভ মহরত। ২০০৩ সালেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে ঋতুপর্ণ তৈরি করেন চোখের বালি। এই ছবিতেই তিনি প্রথম বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাইকে নিয়ে কাজ করেন এবং ছবিটি আজও দর্শকের মনের মণিকোঠায় রয়ে গিয়েছে।

কিংবদন্তি শিল্পী কিশোর কুমারের জন্মদিনে রইল তাঁর জীবনের কিছু অজানা কথা।

Rituparno Ghosh

২০০৪ সালে ঘোষের প্রথম হিন্দি ছবি রেনকোট মুক্তি পায়। শ্রেষ্ঠ হিন্দি ছবি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পায়। এছাড়াও তার তৈরি চলচ্চিত্রের তালিকার মধ্যে রয়েছে আবহমান, খেলা, অন্দরমহল, সত্যান্বেষী। এই প্রতিটি ছবিতেই তিনি কাজ করেছেন টলিউড ও বলিউডের নামজাদা তারকাদের নিয়ে। তবে নিজের শিক্ষা ও সংস্কৃতি থেকে এক বিন্দুও সরে আসেননি তিনি। দুই দশকের কর্মজীবনে ১২টির বেশি জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ২০১৩ সালের ৩০ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ঋতু। তবে শেষে এই কথা বলতেই হয়, প্রতিটি বছর কেটে যায় কিন্তু এই ঋতুর বদল ঘটে না।

এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের  Google News পেজটি

Related Articles