খবর

Ruth John Koyyala: দু-বছর কঠিন লড়াই! অবশেষে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে মেডিসিনে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পেলেন রুথ জন

তেলেঙ্গানার ২৯ বছর বয়সী 'রুথ জন কয়ালা' (Ruth John Koyyala) মেডিসিনের স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির সুযোগ পেলেন, তাও আবার ট্রান্সজেন্ডার বিভাগের অধীনে!

Advertisements

Ruth John Koyyala: তেলেঙ্গানার ২৯ বছর বয়সী ‘রুথ জন কয়ালা’ (Ruth John Koyyala) মেডিসিনের স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির সুযোগ পেলেন, তাও আবার ট্রান্সজেন্ডার বিভাগের অধীনে! প্রায় দু-বছর ধরে কঠিন লড়াইয়ের পরে, সনথনগরের ইএসআই হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে একটি আসন তিনি পান। তাও আবার মহিলা বা পুরুষ নয় বরং ট্রান্সজেন্ডার ক্যাটাগরিতে। তাঁর এই লড়াই রীতিমত চমকিত করে তুলেছে দেশবাসীকে। আশেপাশে আরও অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডারদের উদ্বুদ্ধ করছে তাঁর কাহিনী।

Telangana Doctor First to Get PG Seat in Transgender Category

Ruth John Koyyala

Advertisements

রুথ জানিয়েছেন, বিভিন্ন দপ্তরে এবং বিভিন্ন মন্ত্রীদের কাছে প্রায় কুড়িটিরও বেশি প্রতিনিধিত্ব তিনি জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর কঠিন যাত্রা। রীতিমতো দরজায় দরজায় ঘুরতেন, মহিলা পুরুষ নয় বরং ট্রান্সজেন্ডারদের সংরক্ষিত আসনের জন্য। অবশেষে তাঁর জয়লাভ হয়! তেলেঙ্গানার হাইকোর্ট দ্বারা স্বীকৃতি লাভ করেছেন তিনি। মেডিক্যালে তাঁদের জন্য আলাদা সংরক্ষিত বিভাগ চালু করা হয়েছে ।

Ruth John Koyyala

Ruth John Koyyala

বর্তমানে রুথ হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করেন। রুথ জানিয়েছেন, তিনি একজন গাইনোকোলজিস্ট হতে চান কিন্তু এই ট্রান্সজেন্ডার বিভাগেই তিনি পড়াশোনা করতে চান। দেশের আরও অন্যান্য যে ট্রান্সজেন্ডাররা ডাক্তার হয়েছেন, তারা সাধারণত পুরুষ বা মহিলা আসনেই ভর্তি হয়েছেন। তবে এই পথ বেছে না নিয়ে নিজের লড়াইয়ে একনিষ্ঠ ছিল রুথ।

চন্দ্রযানের নায়ককে উড়ানে পেয়ে গর্বিত! ইন্ডিগোর উড়ানে উষ্ণ অভ্যর্থনা ইসরো প্রধানের

Ruth John Koyyala

২০২২ সালে নিট পিজি(Neet PG) পরীক্ষার সফলতা পাওয়ার পরেও তিনি ভর্তি হননি। এর অন্যতম কারণ ছিল ওই আসনটি মহিলার। এরপরে তিনি ট্রান্সজেন্ডার বিভাগের অধীনে আবেদন করেন। ২০২৩ সালে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট সম্মতিতেই এই আসনের মাধ্যমেই তিনি পিজিতে ভর্তি হন। রুথ বলেছেন, “আমার স্বপ্ন হলো একজন গাইনোকোলজিস্ট হওয়া কারণ আমি আমার সম্প্রদায়ের সদস্যদের সেবা করতে চাই। যাদের মধ্যে অনেকেই লিঙ্গ পরিবর্তনের আগে বা পরে সঠিক চিকিৎসা পায় না”।

এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের  Google News পেজটি

Related Articles