ISRO Chairman S Somanath: ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী! জানুন চন্দ্রযান-৩-এর নায়কের জীবনের অজানা কাহিনী
চাঁদের বুকে অশোক স্তম্ভের ছাপ গর্বিত করছে সমস্ত দেশবাসীকে!

ISRO Chairman S Somanath: চাঁদের বুকে অশোক স্তম্ভের ছাপ গর্বিত করছে সমস্ত দেশবাসীকে! বিজ্ঞানীদের সাফল্যে আনন্দিত গোটা ভারত। তবে এরই মধ্যে যাঁর অবদানের কথা উল্লেখ না করলেই নয়, তিনি হলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান ‘এস সোমনাথ’ (S Somnath)। চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)-এর সাফল্যে যাঁর কৃতিত্ব সব থেকে বেশি তিনি হলেন ‘এস সোমনাথ’। তাঁর তত্ত্বাবধানে ‘প্রজ্ঞান’ এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে চাঁদের বুকে। চাঁদের বুকে ভারতের পতাকা উত্তোলনে যাঁর ভূমিকা সব থেকে বেশি, তাঁর কথাই আজ জেনে নেওয়া যাক।
Chairman of ISRO and The Mind Behind Chandrayaan-3
ইসরোর বর্তমান প্রধান এস সোমনাথ, যাঁর পুরো নাম ‘শ্রীধারা পানিকর সোমনাথ’। ২০২২ সালে তিনি ইসরোর প্রধান পদে নিযুক্ত হন। ইসরোর সমস্ত বিজ্ঞানীরা আজ সাফল্যের চরম শিখরে পৌঁছেছেন তাঁর নেতৃত্বেই। প্রথম থেকেই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের বুকে ইন-সিটু পরীক্ষা করা। এছাড়া চন্দ্রপৃষ্ঠে আর কি কি রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত জানা। তবে শুধু চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য নয়, এর আগেও বিজ্ঞান দুনিয়ায় আরো অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন তিনি। যেমন মহাকাশযানের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছেন, পাইরেটেকনিক, স্ট্রাকচারাল ডিজাইনিং এই সবকিছুতেই রয়েছে তাঁর কৃতিত্ব। জিএসএলভিতে তিনটি সফল মিশন এবং পিএসএলভিতে ১১ টি সফল মিশনেও তাঁর নাম উঠে আসে বারংবার।
S Somanath
ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন সোমনাথ। কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত একটি কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এরপর ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে করেন স্নাতকোত্তর। পরবর্তীকালে পিএইচডিও করেন তিনি। পড়াশোনা শেষেই নিযুক্ত হন বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে।
চন্দ্রযানের নায়ককে উড়ানে পেয়ে গর্বিত! ইন্ডিগোর উড়ানে উষ্ণ অভ্যর্থনা ইসরো প্রধানের
১৯৯৩ সালে তাঁর প্রথম সফল প্রজেক্ট ছিল, পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল উৎক্ষেপণ। ২০১০ সালে জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক থ্রি প্রজেক্টে ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হন। এরপরই ইসরোর চেয়ারম্যান পদে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়।আগামী দিনে তিরুবন্তপুরমের লিকুইড প্রোপলশন সিস্টেমের ডিরেক্টরের পদে বসতে পারেন তিনি।
এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের Google News পেজটি