Vishwakarma Puja: বিশ্বকর্মা পূজার দিন কেন ওড়ানো হয় ঘুড়ি? জানেন এর ইতিহাস?
বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশের রংবেরঙের ঘুড়ির খেলা।

Vishwakarma Puja 2023: আজ শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার, বা কারিগরদের কাছে একটি বিশেষ দিন। যে সব জায়গায় যন্ত্র কারিগরির কাজ হয় সেই সকল স্থানে ধুমধাম করে পালিত হয় বিশ্বকর্মা পূজা। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন অনেকের বাড়িতেই অরন্ধন উৎসবও পালিত হয়। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশের রংবেরঙের ঘুড়ির খেলা। এই দিন সকাল থেকেই আকাশে দেখা মেলে বাহারি ঘুড়ির। চলতি বছর ১৮ই সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ পূজিত হবেন দেবলোকের কারিগর বিশ্বকর্মা। সহজ কথায় বলা যায়, দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার তিনি। ব্রহ্মার আদেশে গোটা বিশ্বকে নিজের হাতে সাজিয়ে তুলেছিলেন বিশ্বকর্মা। এমনকি কৃষ্ণের বাসস্থান দ্বারোকো নগরীও তৈরি করেন তিনি। এছাড়া বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত অস্ত্রের স্রষ্টা এই বিশ্বকর্মা। ঋগবেদে তাঁকে স্থাপত্য এবং যন্ত্রবিজ্ঞান বিদ্যা অথবা স্থাপত্য বিদ্যার জনক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে জানেন কেন বিশ্বকর্মা পূজার দিন ঘুড়ি ওড়ানো হয়?
Why are Kites flown on vishwakarma Puja?
প্রত্যেক মানুষই পৌরাণিক গল্প বা টেলিভিশন প্রোগ্রামে দেখেছেন, যে দেবতারা সুন্দরভাবে সজ্জিত রথে আকাশে ভ্রমণ করছেন। আসলে, বিশ্বকর্মা দেবতাদের জন্য উড়ন্ত রথ তৈরি করেছিলেন। প্রচলিত আছে, এই কারণেই বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন শুরু হয়েছিল।
ভিত ছাড়াই বছরের পর বছর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই শিব মন্দির, জানুন আসল রহস্য
বাংলায় বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন শুরু হয় ১৮৫০ সাল থেকে। শোনা যায়, বাংলার বেশ কিছু ব্যবসায়ী নিজেদের প্রতিপত্তি দেখানোর জন্য এইদিন ঘুড়ির সঙ্গে টাকা বেঁধে আকাশে উড়িয়েছিলেন। এমনটাও শোনা যায় যে সেই সময় রাজারা নাকি টাকা দিয়ে একটা আস্ত ঘুড়িও বানিয়ে ফেলতেন। বর্ধমান রাজবাড়িতেও ঘুড়ি ওড়ানোর চল বহু পুরনো। তারা এসেছিলেন পাঞ্জাব থেকে। পাঞ্জাবে ঘুড়ির উৎসব বেশ জনপ্রিয়। তাই মনে করা হয়, বর্ধমানের রাজাদের হাত ধরেই বাংলায় বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন শুরু হয়। এই দিন রীতিমত দলে দলে বেঁধে যায় ঘুড়ির লড়াই এবং ভোকাট্টা কলরব শোনা যায় চারদিক থেকে।
এরকম আরও প্রতিবেদন পড়তে ফলো করতে পারেন আমাদের Google News পেজটি